রাজধানীর ভাটারা এলাকায় হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাবাকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে তাঁর ছেলে। গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম শেখ মো. সেলিম (৭০)। তিনি পাথর সরবরাহের ঠিকাদার ছিলেন।

তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায়।
পুলিশ সেলিমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। দুপুরে থানায় আত্মসমর্পন করেছেন তাঁর ছেলে শেখ মো. নাসির।

ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুর রহমান বলেন, ‘‘সকালে থানায় গিয়ে শেখ নাসির বলেন- ‘আমি আমার বাবাকে মেরে ফেলেছি। ’ পরে জিজ্ঞাসাবাদে নাসির বলেছেন, তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। কিন্তু সচ্ছল বাবা মাকে চিকিৎসক দেখাচ্ছিলেন না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বাবার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। তার কথামত বাসায় গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। ’’

পুলিশ জানায়, সেলিম সপরিবার ভাটারার একটি ভবনের দোতলায় থাকতেন। গতকাল সকালে ওই বাসায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে সেলিমের মাথায় আঘাত করেন নাসির। এতে সেলিম ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ঘটনার পর ঘরের দরজা বন্ধ করে বাসা থেকে বের হয়ে যান নাসির। দুপুর ২টার দিকে নাসির ভাটারা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে বলেন, তিনি বাবাকে খুন করছেন। এই হত্যার জন্য তিনি নিজের বিচার চান। পরে ভাটারা থানা পুলিশ ওই বাসা থেকে শেখ সেলিমের লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

 

কলমকথা/ বিথী